ফাইবারে কাজ করতে যেয়ে আপনাকে জীবনে অনেকবার লেভেল ১ হইতে হবে লেভেল ২ হইতে হবে আবার লেভেল ২ থেকে নিউ সেলার হইতে হবে। এখানে নতুন অবস্থায় আমরা অনেকেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি।

মাসের ১৫ তারিখ আমরা অপেক্ষা করি কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে আমাদের সাথে। কেউ ৪০০ ডলার ইনকাম হয়ে গেছে বসে আছে লেভেল ১ পাব আবার কেউ ২০০০ ইনকাম করে বসে আছে লেভেল ২ পাব অনেকেই টপ রেটেড উল্টাও হয় অনেকের সাথে লেভেল থেকে লেভেল ১ এ চলে আসা ????

আসেন জেনে নেই, কেন এই উল্টা ঘটনা ঘটে থাকে:

লেভেল পাওয়ার জন্য আপনাকে শুধু ৪০০ বা ২০০০ বা ২০,০০০ ডলার উপার্জন করলেই হবেনা এর বাহিরেও কিছু নিয়ম আছে। লেভেল পাওয়া বা হারানোর জন্য আপনাকে ৮ টা ক্যাটাগরিতে পাস করতে হবে।

লেভেল ১: আপনার প্রোফাইলে বয়স মিনিমাম ৬০ দিন হতে হবে, তারপর ৪০০ ডলার উপার্জন করতে হবে।

লেভেল ২: আপনার প্রোফাইলে বয়স মিনিমাম ১২০ দিন হতে হবে, তারপর ২০০০ ডলার উপার্জন করতে হবে।

টপ রেটেড এর গল্প পরে কোনএকদিন বলব ইনশাল্লাহ।

এই বয়স আর ডলার উপার্জন করলেই আপনি লেভেল পাবেন বেপারটা সঠিক নয়। লেভেল পেতে হলে আরওটা ক্যাটাগরিতে পাস করতে হবে।

১. রেসপন্স রেট: ক্লায়েন্ট হোক আর যেই হোক ইনবক্সে ম্যাসেজ এসেছে আপনি কতজন ব্যাক্তির উত্তর করেছেন। এখানে মিনিমাম রেস্পন্স রেট ৯০% থাকতে হবে।

২. অর্ডার কমপ্লিশন রেট: কত গুলো অর্ডার সম্পন্ন করলেন এবং কত গুলো ক্যান্সেল হল। অর্ডার ১০ টা কমপ্লিট হলে যদি ২ টা ক্যান্সেল হয় তাহলে রেট হয়ে গেল ৮০% কিন্তু আপনাকে ৯০% মিনিমাম রাখতে হবে। অর্থাৎ যতটা সম্ভব অর্ডার ক্যান্সেল করবেন না।

৩. অনটাইম ডেলিভারি: সময়মত ডেলিভারি করা, অর্থাৎ কাজ নেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর কাজ শেষ করে ডেলিভারি করে দেওয়া। অনেক সময় ডেলিভারি করার পর রিভিশন এ ডেলিভারি লেট হয়ে যায়, এটা কোন ইফেক্ট করেনা। এখানেও আপনাকে ৯০% ডেলিভারি সময় মত করতে হবে।

৪. রেটিং: আপনার ক্লায়েন্ট কাজ শেষ করে আপনার প্রোফাইলে তার যে ফিডব্যাক দিয়ে যাচ্ছে সেটার এভারেজ ৪.৭ এর নিচে আসলেই বিপদ। অর্থাৎ মিনিমান ৪.৭ রাখতে হবে।

৫. সেলিং সিনিওরিটি: আপনার প্রোফাইলের বয়স। উপরে আলোচিত হয়েছে।

৬. অর্ডারস: লেভেল ১ পেতে ১০ টা অর্ডার, লেভেল ২ পেতে ৫০ টা অর্ডার কমপ্লিট করতে হয়।

৭. উপার্জন: উপরে আলচিত হয়েছে।

৮. ওয়ার্নিংস: আপনি কাজ করছেন ভালোভাবেই কিন্তু কোন একটা ছোট মিস্টেক হয়ে গেছে নিজের অজান্তে অথবা জানতে অথবা কোন ক্লায়েন্ট আপনার উপর অখুশি হয়ে গেছে আর ফাইভার সাপোর্টে রিপোর্ট করেছে, ব্যাস ওয়ার্নিং খেয়ে যাবেন। আর পর পর ২ টা ওয়ার্নিং খেয়ে শুধু লেভেল না আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে।

এইযে উপরে ৮ টা পয়েন্ট আলোচনা করলাম এর ভিতর ৫,৬,৭ এই ৩ টা পয়েন্ট বাদে অন্য কোন পয়েন্টে আপনি মিনিমাম লেভেল এর নিচে গেলেই আপনার লেভেল মাসের ১৫ তারিখ হারাবে অর্থাৎ নিচে নামবে। আপনি পরের মাসে আবার সব ঠিকঠাক ৯০% করতে পারলেই লেভেল ফেরত পেয়ে যাবেন।

ধরেন আপনি একটা ক্লায়েন্ট এর ছোট অথবা বড় কাজ করলেন ক্লায়েন্ট হ্যাপি হল আপনার কাজ শেষ করে ভালো রিভিউও দিল কিন্তু পরে কোন কাজ করতে এসে আপনার উপর নারাজ হয়ে গেল যে কোন কারনে ক্লায়েন্ট আপনার নামে রিপোর্ট করল আর আপনার অর্ডার ক্যান্সেল করে দিবে ফাইভার থেকে। এখানে আমাদের লসের পরিমানটা অনেক বেশি থাকে। সময়, শ্রম, মেধা, ইন্টারনেট, ইলেক্ট্রিক বিল, টাকা এবং আপনার প্রোফাইলে (২) অর্ডার কমপ্লিশন এ ক্যান্সেল রেট চলে আসল শুধু তাইনা অনেক সময় ওয়ার্নিং দিয়ে দেয়। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং বেপারটা এতটা সহজ না আবার এখন যতটা কঠিন মনে হচ্ছে অতটা কঠিনও না।

শুধু মাথায় রাখবেন আপনি যে লোকটার সাথে কাজ করছেন সে যেমনি হোক বেস্ট সাপোর্ট তাকে দিতে হবে, আপনার বেস্ট কাজের আউটপুট তাকে দিতে হবে। সব ক্লায়েন্ট ভালনা আবার সব ক্লায়েন্ট খারাপও না। ভালো খারাপ এর সংমিশ্রণ।

মনে রাখবেন একজন ফ্রিল্যান্সার মানে প্রকৃত পরিশ্রমী মানুষ।

Ashikul Islam

Greetings, I'm Ashikul Islam. Although I hold a degree in civil engineering, my true calling lies in the world of graphic design. I've dedicated 8 enriching years to this profession, sustaining myself through freelancing. My passion for design courses through my veins, fueling my joy in crafting fresh and imaginative creations. As they say, "Do what you love, love what you do." I stand proudly as a graphic designer, not a civil engineer. Wishing you strength and blessings.

leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.